আমাদের ও কাফেরদের মাঝে চুক্তি হল সালাত। সুতরাং যে ব্যক্তি তা ত্যাগ করবে সে কুফুরি করল!

পরে পড়ব, একটু পরে, বাসায় গিয়ে, আগে কাজটা শেষ করি ইত্যাদি চিন্তা মাথায় আসলেও গুরুত্ব দিবেন না; এসবই শয়তানের কুমন্ত্রণা!

মসজিদ পাশে না থাকলে বাসায়, বাসায় না থাকলে যেখানে বসে আছেন সেখানে, দাঁড়িয়ে আদায় না করতে পারলে বসে, বসেও আদায় না করতে পারলে প্রয়োজনে শুয়ে আদায় করুন তাও ইচ্ছাকৃতভাবে ফরয নামায ত্যাগ করবেন না।

“সবাই তাঁর অভিমুখী হও এবং ভয় কর, সালাত কায়েম কর এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। (সুরা আর রুমঃ ৩১)

আল্লাহ্‌র বান্দা ও শিরক-কুফরের মধ্যে পার্থক্যকারী হচ্ছে সালাত ত্যাগ করা। [সহিহ মুসলিম,হাঃ ১৫৪]

আমাদের ও কাফেরদের মাঝে চুক্তি হল সালাত। সুতরাং যে ব্যক্তি তা ত্যাগ করবে সে কুফুরি করল। ( তিরমিজিঃ ২৬২১, ইবনে মাজাহঃ ১০৭৯ )

আমিরুল মু’মিনীন উমার (রঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি নামায ত্যাগ করে, তার জন্য ইসলামে কোন অংশ নেই।” (বাইহাকি ৬৭৩৪ নং, ইবনে আবি সাইবাহ ৩৭০৭৪ নং)

ইবনে মাসউদ (রঃ) বলেন, ‘যার নামায নেই, তার দ্বীন নেই।’ (সহীহ্ তারগিব ৫৭৪ নং)

আবু দারদা (রঃ) বলেন, ‘যার নামায নেই, তার ইমান নেই।’ (সহীহ্ তারগিব ৫৭৫ নং)

তুমি দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করবে, তাতে সক্ষম না হলে বসে আদায় করবে এবং তাতেও সক্ষম না হলে শুয়ে সলাত আদায় করবে। [সূনান আবু দাউদ হা/ ৯৫২; বুখারী হাঃ ১১১৭, তিরমিযী হাঃ ৩৭৩, ইবনু মাজাহ হাঃ ১২২৩, আহমাদ ৪/৪২৬]

ইচ্ছাকৃতভাবে কখনও কোন ফরয সালাত ছেড়ে দিও না। কারণ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ফারয্ সালাত পরিত্যাগ করে, আল্লাহ তা‘আলা তার থেকে দায়িত্ব উঠিয়ে নেন। (মিশকাত ৬১; হাসান লিগয়রিহী : আহমাদ ২১৫৭০, সহীহুত্ তারগীব ২৩৯৪)

© মাহমুদ হাসান

Comments are closed.